জাপানি সংবাদসংস্থা জিজি প্রেসের বরাত দিয়ে ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলার মধ্যে ভারতে যাওয়ার কথা বিবেচনা করে দেখছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি লোকসভায় ও রাজন্যসভায় পাস হওয়ার পর তাতে বৃহস্পতিবার সম্মতি দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রতির সম্মতির পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে।
এই আইনটিবাতিল করার দাবিতেই আসামে কারফিউ অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছেন, অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিস্থিতি। যদিও বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র রভীশ কুমার জানান, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল সংক্রান্ত কোনো খবর তাদের কাছে নেই।
গত সপ্তাহে, রভীশ কুমার ঘোষণা করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শিনজো আবের মধ্যে একটি বৈঠক হতে চলেছে ভারতে। আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সরকার ওই বৈঠকের স্থান ঘোষণা করেনি, তবে জানা গেছে যে গুয়াহাটিতে বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল।
সরকার বৈঠকের স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কিনা এ বিষয়ে রভীশ কুমার বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলার মতো অবস্থানে নেই। আমার কাছে এই সংক্রান্ত কোনো খবর নেই।’
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জাপানের একটি দল বৈঠকের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে গুয়াহাটি সফরে আসবেন।
বৃহস্পতিবার আসামের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াহাটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে মারা যান কমপক্ষে দু’জন বিক্ষোভকারী এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সি ও শিখদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হয়েছে। তবে এতে মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে পালানো রোহিঙ্গা মুসলিম উদ্বাস্তুদের জন্য কোনো সুবিধা রাখা হয়নি।